Covid-19 News: ওয়াশিংটন, ২৫ জুন: কোভিড-১৯ (COVID-19) - এর উৎপত্তিস্থল হিসেবে গত কয়েক বছরে চিনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (China's Wuhan Institute of Virology) এর বিরুদ্ধে বহু বার আঙুল আমেরিকা-সহ নানা দেশ। এর আগে এফবিআই-সহ আমেরিকার বেশ কিছু সংস্থা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল উহানের এই ল্যাবরেটরিকে। কিন্তু এ বার উল্টো পথে হেঁটে আমেরিকান গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র দাবি, উহানের ওই পরীক্ষাগার থেকেই যে করোনার উৎপত্তি, তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ মেলেনি। সিআইএ ছাড়াও এই তদন্তে ছিল আমেরিকার আরও কয়েকটি সংস্থা।
এ বছরের গোড়ায় আমেরিকান কংগ্রেসে একটি বিল পাশ হয়েছিল। যেখানে বলা হয়, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে উহানের ওই পরীক্ষাগার নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিআইএ-কে। গত কাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে তারা। ‘ডাইরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স'-এর দফতর প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম, করোনার উৎপত্তি হিসেবে এই দুই সম্ভাব্য রাস্তাই খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু উহানের ওই পরীক্ষাগার থেকেই যে কৃত্রিম উপায়ে ওই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল, তার কোনও সরাসরি প্রমাণ তারা পায়নি বলে রিপোর্টে জানিয়েছে সিআইএ। রিপোর্টের বিবৃতি অনুযায়ী, উহান ল্যাবের কোনও কর্মীর মাধ্যমে ভাইরাস বাইরে ছড়িয়েছে কিনা তাও জানার চেষ্টা চালিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ। সেদিক থেকেও কোনও মজবুত প্রমাণ মেলেনি। সব মিলিয়ে উহানকে এখনই কোনওভাবে দায়ী করা যাচ্ছে না কোভিড ভাইরাস ছড়ানোর জন্য। বরং সময় যত যাচ্ছে, ততই জটিল হয়ে যাচ্ছে তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের কাজ। আপাতত প্রমাণ জোগাড়ের দিকেই বেশি জোর দিচ্ছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
এর আগে ও বহু বার উহানের উপর ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেজিং। আমেরিকান সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, সিআইএ- সহ আমেরিকার চারটি সংস্থা মনে করে যে চিনে কৃত্রিম ভাবে করোনার উৎপত্তি হয়নি। এই চার সংস্থার আরও দাবি, কোনও ভাবে প্রাণীর দেহ থেকেই মানব থেকে শরীরে করোনা সর্বপ্রথম সংক্রমিত হয়েছিল। এর আগে একই কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-ও। আমেরিকার গোয়েন্দা সংগঠনগুলির আরও বক্তব্য, কোনও জৈব অস্ত্র তৈরির সময়ে কোভিড-১৯-এর সৃষ্টির কথাও তারা আদতে বিশ্বাস করে না । সিআইএ এর রিপোর্ট নিয়ে বেজিংয়ের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।